এই রোদ এই বৃষ্টি। ঘন কালো মেঘে ভরে ওঠে আকাশ। পরক্ষণেই বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ে আর দেখা দেয় রোদ ঝলমলে দিন। প্রকৃতির এই পালাবদলে হঠাৎ করেই বাড়ে অসুস্থতা। বিশেষ করে শিশুদের নিয়ে বর্ষাজুড়েই থাকে নানা দুশ্চিন্তা। বৃষ্টিতে ভিজে যেমন ঠান্ডা, সর্দি জ্বর আসে তেমনি হঠাৎ গরমের ঘাম থেকেও হতে পারে মৌসুমি রোগবালাই।
অতিরিক্ত বৃষ্টিতে পানি দূষিত হওয়ার পাশাপাশি ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের প্রকোপ দেখা দেয়। বৃষ্টিতে ভিজে অনেক শিশুই আক্রান্ত হয় ঠাণ্ডা, জ্বর, গলা ব্যথায়। তাছাড়া যে সব শিশুর অ্যাজমার প্রবণতা থাকে তাদের এই মৌসুমে শ্বাসকষ্ট কাশি বেড়ে যায়। জীবানুমুক্ত রাখতে তাই শিশুকে পরিষ্কার পরিছন্ন রাখুন। বৃষ্টিতে ভিজে গেলে সাথে সাথে মাথা শরীর মুছে ভেজা জামা বদলে ফেলুন। শিশুর জামাকাপড় জীবাণুমুক্ত করার জন্যে স্যাভলন কিংবা ডেটল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
বাড়ির বাইরের মতই বাড়ির ভিতরও জীবাণু আক্রান্ত হতে পারে। কেননা স্যাঁতস্যাঁতে জায়গা থাকলেই জীবানু হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই পরিষ্কার পরিছন্ন রাখতে হবে বাড়িটাকেও। শিশুর হাঁচি কাশি শুরু হলেই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টি-হিস্টামিন জাতীয় ওষুধ দিন। এতে শিশুর হাঁচি কাশি প্রকোপ আকার ধারণ করতে বাঁধা দিবে।
বর্ষা মৌসুমে শিশুকে সুস্থ রাখতে তার খাওয়া-দাওয়ার প্রতি হতে হবে সচেতন। শরীরে পানি ঘাটতি যেন না হয় তার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করাতে হবে শিশুকে। যে পানি পান করাবেন তা সময় নিয়ে ভাল ভাবে ফুটিয়ে নিতে হবে।