খেলাধুলা শিশুদের জন্য একটি সুস্বাস্থ্যকর উপায়। খেলাধুলা করা শিশুর শারীরিক এবং মানসিক উন্নয়নের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খেলাধুলা করে শিশুর বুদ্ধিমানি, স্বাভাবিক রূপে উন্নয়ন, সামাজিক ও মানসিক উন্নয়নের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
খেলাধুলা শিশুদের জন্য কতটা প্রয়োজন?
১. খেলাধুলায় উপস্থিত বুদ্ধি বৃদ্ধি পায়।
২. শারীরিক বৃদ্ধি স্বাভাবিক রাখতে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
৩. পরিকল্পনা, দূরদর্শিতা ও পড়াশোনার প্রতি শিশুর আগ্রহ জাগিয়ে তুলতে কয়েকজন মিলে একসাথে খেলার পরিবেশ অনেকখানি সাহায্য করে। পাশাপাশি সৃজনশীলতা ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
৪. ক্রিকেট, ফুটবলের মতো ছুটাছুটি করার সুযোগ রয়েছে এমন খেলার মাধ্যমে শারীরিক কাঠামো মজবুত হয়। নানা ধরনের নৈপুণ্য, দক্ষতা আয়ত্তে আসে।
৫. খেলাধুলার মাধ্যমে শিশুরা পড়াশুনা, আচার-আচরন, বুধিমত্তাতে এগিয়ে থাকে।
৬. সকলের সাথে মিলেমিশে খেললে সামাজিক আচরন, সম্পর্ক দৃঢ় হয়।
৭. কল্পনাশক্তি, রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা, চিন্তাশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
পড়ালেখার পাশাপাশি অভিভাবকসহ সকলের উচিৎ বিকেলে কিছুটা সময় হাতে নিয়ে আশেপাশে ঘুরতে, খেলতে বা হালকা কিছু শারীরিক ব্যায়াম-হাঁটাহাঁটি, প্রতিবেশীদের সাথে গল্প করতে বেরিয়ে পরা। এতে স্বাস্থ্য ও মন উভয়ই প্রফুল্ল থাকবে।
শারীরিক কার্যক্রম শুধু শিশুদের জন্য নয়, শিশু থেকে শুরু করে পূর্ণবয়স্ক মানুষের শারীরিক সুস্থতার জন্যেও নিত্যদিন ব্যায়াম করা প্রয়োজন।
তাই কাজের পাশাপাশি নিজেকেও সময় দিন, এতে শরীর ভাল থাকলে কাজও ভাল হবে।