পৃথিবীর সব দেশের শিশুদের কিছু বিশেষ অধিকার রয়েছে।
শিশু অধিকারগুলো হলো :
১. জন্ম নিবন্ধনের অধিকার
২. একটি নাম পাওয়ার অধিকার
৩. স্নেহ ও ভালবাসা পাওয়ার অধিকার
৪. পুষ্টি ও চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার
৫. খেলাধূলা ও বিনোদনের অধিকার
৬. শিক্ষার অধিকার
৭. ছেলে ও মেয়ে শিশুর সমান সুযোগ লাভের অধিকার ইত্যাদি।
সুস্থ ও সুন্দরভাবে বেড়ে উঠার জন্য এসব অধিকার পূরণ হওয়া খুবই প্রয়োজন। পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব হলো শিশুদের এসব অধিকার পূরণ করা। আজকাল এর পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিও এখানে অবদান রেখে চলেছে।
আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যত-এ কথাটি বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে স্বীকৃত। অনেক সময় অন্যান্য অনেক প্রয়োজনীয় অপ্রয়োজনীয় বিষয়ের চাপে শিশুর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অধিকার বিনোদনের ব্যাপারটি প্রায় উপেক্ষিত থাকছে। শহরজুড়ে শিশুদের পোশাক, খেলনার দোকান, পার্ক, স্কুল, খেলাধুলা শেখার কোচিং থাকলেও প্রকৃত বিনোদনের ব্যবস্থা নেই। শিশুর বিনোদনের সবচেয়ে বড় মাধ্যম হচ্ছে খেলাধূলা। আর আজকাল খেলার মাঠ বা বাড়ির সামনের উঠানের দেখা মেলাই তো কঠিন। গ্রামের প্রতিষ্ঠানগুলোতে মাঠ থাকলেও শহরে তেমন দেখা যায় না। আবার যেখানে মাঠ আছে সেখানেও অনেক ক্ষেত্রে খেলাধূলার সুযোগ থাকে না।
স্কুলের ছুটির ঘণ্টা বাজলেই তাদের দৌড়াতে হয় কোচিং বা প্রাইভেট টিউটরের কাছে। বইয়ের ভারে ক্লান্ত শিশুরা সন্ধ্যায় ঘরে ফেরে। এত কিছুর মাঝে খেলার সময় আর হয় না। তাই বিনোদনের জন্য শিশুদেরও খুঁজতে হচ্ছে অন্য কিছু।
আর এই অন্য কিছু গুলো ধিরে ধিরে তাদেরকেও রুপান্তর করে ফেলছে “অন্যকিছু” তে। আর সেই “অন্যকিছু” যে অন্য অনেক ভালো কিছু না তা বলাই বাহুল্য। এতে শিশুদের সুস্থ সংস্কৃতির সঙ্গে দূরত্ব তৈরির পাশাপাশি অপসংস্কৃতির আগ্রাসন বাড়ছে। ফলে শিশুদের মাঝে নৈতিক মূল্যবোধের ব্যাপক ঘাটতি তৈরি হচ্ছে এবং তাদের ভবিষ্যৎ হয়ে উঠছে অনিশ্চিত।
তাই, সুস্থ বিনোদন, তা খেলাধূলাই হোক বা অন্যান্য পরিচ্ছন্ন আনন্দের খোরাকই হোক না কেন শিশুবিকাশে তার কোন বিকল্প আগেও ছিলো না, এখনো নেই এবং কখনো থাকবেও না। আর এই কথাটি মনে রেখে আমরা অভিভাবকেরা যত দ্রুত সম্ভব সন্তানদের মন মননের কল্যাণে জরুরী ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করবো কল্যান আমাদেরকে ততটাই স্ব-স্বস্তি স্পর্শ করবে।
তাই আসুন পঙ্কিলতার অতলে হারিয়ে গিয়ে নব-আবিষ্কৃত যতসব যন্ত্রনির্গত নীল আলোর বিচ্চছুরণ থেকে আদরের সন্তানদের উজ্বল ভবিষ্যতকে সুরক্ষিত করতে বর্ণিল হই সেই রঙে যেই রঙের কথা স্বয়ং আল্লহ রব্বুল আলামীন আমাদের বলেছেনঃ
صِبۡغَۃَ اللّٰهِ ۚ وَ مَنۡ اَحۡسَنُ مِنَ اللّٰهِ صِبۡغَۃً ۫ وَّ نَحۡنُ لَهٗ عٰبِدُوۡنَ ﴿۱۳۸
“আল্লাহ্র রঙ। আর রঙের ক্ষেত্রে আল্লাহ্র চাইতে কে বেশী সুন্দর? আর আমরা তাঁরই উপাসনাকারী।”
Previous Story
পিছিয়ে পড়া শিশুদের নিয়ে সমস্যা
Next Story