শিশুদের স্মৃতিশক্তি বাড়াতে নিয়মিত কী কী খাওয়াবেন?
১. একদম ছোট বয়স থেকেই শিশুদের পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো দরকার। কারণ এটি যেমন তাদের শরীরের পুষ্টির জন্য প্রয়োজন, তেমনই মানসিক বিকাশের জন্যও দরকারি। খাবারে পুষ্টিগুণের অভাব হলে শিশুর মস্তিষ্কের সঠিক বিকাশ বা স্মৃতিশক্তির পুরোপুরি বিকাশ নাও হতে পারে।
২. ৩ থেকে ৫ বছর বয়সি শিশুদের খাবারে সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। তাহলেই তাদের শরীর, মন এবং স্মৃতিশক্তির সঠিক বিকাশ হয়। শিশুদের পড়াশোনা এবং ভবিষ্যৎ জীবনে উন্নতির জন্য স্মৃতিশক্তি অত্যন্ত দরকারি। তাই ছোট থেকেই ওদের খাবারের বিষয়ে সচেতন হন। শিশুদের স্মৃতিশক্তি বাড়াতে কী কী খাওয়াবেন? জেনে নিন।
৩. মাছ এবং ডিম: মানুষের মস্তিষ্ক গঠনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। শরীরে এটির অভাব হলে মস্তিষ্কের বিকাশে অসুবিধা হতে পারে। তাছাড়া স্মৃতিশক্তিও দুর্বল হতে পারে এর ফলে। তাই আমিষ খাবারের ক্ষেত্রে আপত্তি না থাকলে শিশুদের ছোট থেকেই মাছ এবং ডিম খাওয়ান। এর ওমেগা-৩ স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করবে।
৪. যাঁদের আমিষ খাওযার ক্ষেত্রে সমস্যা আছে, তাঁরা তো বটেই, তার পাশাপাশি মাছ বা ডিম খেলেও শিশুদের খাওয়ান বিভিন্ন ধরনের বাদাম এবং বীজ। এতেও প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ থাকে। এগুলি মস্তিষ্কের বিকাশ বিকাশ এবং স্মৃতিশক্তি জোরদার করতে সাহায্য করবে।
৫. নানা ধরনের সবুজ শাকসবজি ওদের খাওয়াতেই হবে। এতে যেমন একই সঙ্গে বহু ধরনের ভিটামিন থাকে, তেমনই থাকে beta-carotene এবং folate। এগুলি মস্তিষ্কের গঠনে সাহায্য করে। এর ফলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে। পড়াশোনার ক্ষেত্রেও উন্নতি হয় এর ফলে।
৬. বিভিন্ন ধরনের বেরি জাতীয় ফল অবশ্যই খাওয়ান শিশুদের। এগুলি ভিটামিন C-এ ঠাসা। এছাড়াও এতে আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্কের মতো উপাদান রয়েছে। এর সবগুলিই মস্কিষ্কের বিকাশ এবং স্মৃতিশক্তির জন্য ভালো। তাই একদম ছোট থেকেই শিশুদের এই সব ফল খাওয়াতে শুরু করুন।
৭. ওটস: এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে। খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে এটি সাহায্য করে। পেটের নানা সমস্যা দূর করে। শরীরের জন্য উপকারী ব্যাকটিরিয়ার পরিমাণ বাড়াতে পারে ওটস। তাই শিশুদের নিয়মিত ওটস খাওয়ান। প্রত্যক্ষভাবে না হলেও পরোক্ষভাবে এটি মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করবে।
Previous Story
শিশুর মানসিক বিকাশে পরিবারের ভূমিকা।
Next Story