সন্তানকে কিভাবে গড়বো

0
Academy

শিশুর জন্মের পর তার সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়স্থল মায়ের কোল। মা অনাবিল আদর-যত্ন ও ভালোবাসায় তাকে সদা সিক্ত করেন, আগলে রাখেন এক ভালোবাসার চাদরে।

যখন সন্তান আধো আধো কথা বলা শুরু করে, মা তখন চারপাশের জগতের সাথে তাকে পরিচয় করিয়ে দেন। কথা ফোটার সময় থেকেই যদি মা ভালোকে ভালো আর মন্দকে মন্দ বলার শিক্ষা শিশুর মগজে গেঁথে দিতে পারেন, তাহলে আশা করা যায় এই সন্তানটি চরিত্রবান ও সৎ মানুষ হিসেবে বেড়ে উঠবে। তাই এ কথায় কোনো সন্দেহ নেই যে, মা ই হলেন সন্তানের নৈতিকতার প্রথম ও প্রধান শিক্ষক।

মায়ের প্রথম কর্তব্য হলো সন্তানকে তার স্রষ্টার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া। শিশুরা এক-দেড় বছরের মধ্যেই অন্যকে অনুকরণ করতে পারে। অর্থাৎ তার ভেতর এ সময় থেকে অনুকরণ করার যোগ্যতা তৈরি হয়। বড়রা যা করে সেও আস্তে আস্তে তা করতে চেষ্টা করে। সুতরাং সুযোগ তো মায়ের হাতেই। পাঁচ ওয়াক্ত নামাযে মায়ের সাথে উঠবস করার সাথে সাথেই কিন্তু একটি সন্তান নামায আদায়ে অভ্যস্ত হতে পারে। মা যদি সূরাগুলো একটু জোরে পড়েন, দেখবেন কিছুদিন পর বাচ্চাও তা বলার চেষ্টা করছে। আর এটা স্বতসিদ্ধ যে, বাচ্চারা শোনা জিনিস দ্রুত মুখস্থ করতে পারে।

২/৩ বছরের বাচ্চাদেরকে খাবার খাওয়াতে বেশ সময় লাগে। তিনবেলা খাবার এবং বিকেলের নাস্তা খাওয়ার সময়সহ মা একটা লম্বা সময় সন্তানকে দেন। আর বর্তমানে বেশির ভাগ মায়েরা বাচ্চাকে খাওয়ানোর সময় গান গায়, ছড়া বলে, গল্প বলে। আর আজকাল মোবাইলের কার্টুন তো খাবার খাওয়ানোর অন্যতম মাধ্যম। অর্থহীন ‘আগডুম বাগডুম’ অথবা ভীতিকর ‘অজগরটি আসছে তেড়ে’ কিংবা হিন্দি গান ইত্যাদি নানান কিছু দেখিয়েও অনেকে বাচ্চাকে খাইয়ে থাকেন। প্রতিদিন যদি এগুলো বাচ্চারা শোনে তাহলে সে এগুলোইতো আয়ত্ব করবে। অথচ মা যদি খাবার খাওয়ানো, ঘুম পাড়ানোর সময় কুরআনের ছোট ছোট সূরাগুলো তিলাওয়াত করেন বা কোন দূআ পড়েন অথবা নবীদের গল্পগুলো অন্ততঃ বলতে থাকেন তাহলে অল্প বয়সেই বাচ্চারা অনেক সহজেই এগুলো শিখতে পারবে। যা পরবর্তী জীবনে তার চরিত্র, ইবাদাত ও প্রতিভা বিকাশসহ আরও অনেক ক্ষেত্রে সহায়তা করবে, ইন শা আল্লাহ্‌।

তাই আসুন আমরা মায়েরা একটুখানি ভেবে সিদ্ধান্ত নিই। সন্তানকেকিভাবেগড়বো

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

X