আপনার শিশু যখন ৬ বছরের পা দেয় তখন তার স্কুলে যাওয়ার অভ্যাস রপ্ত করা জরুরি হয়ে পড়ে। অর্থাৎ তাকে অবশ্যই একটি স্কুলে ভর্তি করে দিতে হবে। স্কুলে ভর্তি করার পর তার প্রতিদিন ক্লাস করা ও বাসায় ফেরার সময় অভিভাবকের সঙ্গে ফেরে।
আবার অনেক অভিভাবকের অভিযোগ শোনা যায়, শিশুর পড়ার আগ্রহ কম। তবে জেনে রাখা ভালো এ বয়সে শিশুরা কিন্তু খেলতে বেশি পছন্দ করে। তাই তাকে খেলার ছলে পড়াতে হবে। খেলার সময় তাকে কবিতা শোনাতে পারেন। এ সময় শিশুরা শুনে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে।
আপনার শিশুর মধ্যে হয়তো সৃজনশীল অনেক মেধা লুকিয়ে আছে। সন্তানের সৃজনশীল মেধাকে বিকাশিত করার জন্য এই অভিভাবকদের সৃজনশীল বিভিন্ন কৌশল খুঁজে বের করতে হয়। শিশুর পড়ার আগ্রহ বাড়ানোর জন্য প্রথম ধাপেই তার সঙ্গী পেনসিল, খাতা, রাবার, স্কেল, ব্যাগ ও পড়ার টেবিল গুছিয়ে ফেলতে হবে।
শিশুর পড়ালেখার জন্য আগ্রহের একটি কেন্দ্রবিন্দু থাকে তার পড়ার টেবিল। তাই পড়ার টেবিলটির প্রতি যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন। শিশুর পড়ার টেবিলটি সাজিয়ে দিন।
আসুন জেনে নেই শিশুর লেখাপড়ায় মনোযোগ বাড়াতে কী কবরেন?
রঙিন ব্যাগ, খাতা ও নতুন রং পেনসিল বক্স
শিশুরা সাধারণ বিভিন্ন জিনিস আকতে ও রং করতে পছন্দ করে। শিশুদের কাছে স্কুলে যাওয়া-আসা ও পড়ায় মনোযোগ বাড়তে নতুন ও রঙিন সব নতুন ব্যাগ, খাতা আর নতুন রং পেনসিল বক্স উপহার দিন। তাকে বিভিন্ন জিনিস এঁকে দিন এ রং করতে সাহায্য করুন।
পড়ার টেবিল
শিশুর পড়ার টেবিল ঘুছিয়ে রাখুন। পড়ার টেবিলে একটি ফুলদানি, বইগুলো গুছিয়ে রাখা, একটি পানির পট, রং পেনসিল ও পুতুল ও খেলনা রাখতে পারেন। এতে শিশুর মেধা বিকাশ ও কোমল মনে স্কুলে যাওয়ার আগ্রহ তৈরি করে। এছাড়া পাখির আকৃতির কিংবা মাছের আকৃতির ব্যাগ শিশুকে আকৃষ্ট করে স্কুলে যাওয়ার জন্য।
ছবি আঁকা
শিশুকে নিজের মতো করে ছবি আঁকতে দিন। কখনো ভাববেন না, সময় নষ্ট হচ্ছে। ছবি আঁকা শিশুর মেধা বিকাশে সাহায্য করে।
খেলাধুলা ও ভ্রমণ
শিশুরা ঘুরতে ও খেলাধুলা করতে পছন্দ করে। তাই বিকালবেলা তাকে খেলার জন্য সময় বের করে দিন। এছাড়া সময় পেলে তাকে নিয়ে শিশুপার্ক বা পছন্দের কোনো জায়গায় ঘুরতে যেতে পারেন।
Previous Story
বর্ষায় শিশুর যত্ন
Next Story